সীমান্তের ওপারে জ্বলছে মিয়ানমার। দেশটির অভ্যন্তরে চলমান গৃহযুদ্ধের আঁচ এসে লেগেছে বাংলাদেশেও। মর্টারশেল, গুলি বাংলাদেশে এসে পড়া ও নোম্যান্স ল্যান্ডে একজনের মৃত্যুতে সীমান্তের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
ভয়ে ভয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে সীমানা পারের মানুষ। সীমান্তবাসীর আশঙ্কা, নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল নামতে পারে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার রোহিঙ্গা সঙ্কট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। রয়েছে তাদের প্রত্যাবাসন পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে চলমান অস্থিরতার ক‚টনৈতিক সমাধান চাচ্ছে। প্রয়োজনে সামরিক কূটনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের চিন্তা-ভাবনাও চলছে।
নতুন শরণার্থী যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ চলমান সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব ও আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর কাছেও তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের উৎকণ্ঠা ও শঙ্কার কথা। ক‚টনৈতিক তৎপরতা ও পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়েই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ সীমান্তের অস্থিরতা কমানোর পক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক কূটনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মিসহ অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। আরাকান আর্মির কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কোন কোন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণও হারিয়েছে।
মোদ্দা কথা হলো, দিন যতই যাচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি আরও জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাও অশান্ত হয়ে পড়েছে। সীমান্ত জেলা প্রশাসন জানমাল রক্ষায় মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার চিন্তা করছে। উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নতুন শরণার্থী ঢলের আশঙ্কা করছে। তবে বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলেছে, কোনভাবেই নতুন শরণার্থী প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না। আরাকান আর্মি, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা তারা যারাই হোক। আমাদের সীমান্তে তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এটা আমাদের ক্লিয়ার মেসেজ। তিনি আরও বলেছেন, আমরা মনে করি, মিয়ানমার তাদের এলাকায় যুদ্ধ করবেন, আমাদের দেশে তারা অনুপ্রবেশ ঘটাবেন না কিংবা অনুপ্রবেশ করবে না।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমারে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। মিয়ানমার তাদের দেশের মধ্যেই বিভিন্ন সময় সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। আরাকান আর্মিসহ সেখানে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মি যুদ্ধ করে চলছে। আমরা শুনেছি, আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের দেশের সঙ্গে তাদের (মিয়ানমার) কোন সম্পৃক্ততা নেই।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের গোলা বর্ষণ ও মর্টারশেল বাংলাদেশে পড়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে চারবার তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে উদ্ভ‚ত ঘটনার লিখিত প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। প্রথমে উত্তর না দিলেও পরে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গুলি এসে পড়ার ঘটনা অনিচ্ছাকৃত ভুল। পরবর্তীতে আর এমন ঘটনা ঘটবে না।
চতুর্থবারের মতো ডাকার পর মিয়ানমার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, আরাকান আর্মির গোলা বাংলাদেশে এসে পড়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশে গুলি ছুড়েছে। তবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আরাকান আর্মি গুলি ছুড়লে সেটি কোনভাবেই পশ্চিমে আসার সুযোগ নেই। তাই তাদের দাবি ভিত্তিহীন। তারপরও গুলি ও মর্টারশেল পড়ার দায় মিয়ানমারকেই নিতে হবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে প্রতিবাদ জানানোর পরও প্রতিদিনই সীমান্তের ওপর গুলির ঘটনা বাড়ছে। শুরুতে তুমব্রæ সীমান্তে শুরুর পর এখন তা বিস্তৃত হয়েছে ঘুমধুম ও টেকনাফ সীমান্তেও। এ ছাড়া কক্সবাজার সীমান্তেও মুহুর্মুহু গুলির শব্দে মানুষের মনে উৎকণ্ঠা বেড়েছে। তবে মিয়ানমারের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো যাবে না।
তাই উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আঞ্চলিক ক‚টনীতি ও মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানোর পথে বাংলাদেশকে হাঁটতে হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বর্তমান পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দাবি তুলছে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য ও নৈতিক সমর্থন খুবই প্রয়োজন।
কারণ আউং সান সুচি ক্ষমতা হারানোর পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশ শাসন করলেও অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী নিজেদের আরও শক্তিশালী করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্র ও টাকা দিয়ে সাহায্য করছে বিদেশী শক্তিরা। তাদের মদদে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুরো মিয়ানমারকেই অশান্ত করে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের দুর্বল সরকারের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে। নইলে মিয়ানমারের উসকানিতে পা দিয়ে সামরিক পথে হাঁটলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কারণ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশ সফর শেষে মন্তব্য করেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে না পারলে আবার তারা ফিরে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ অন্যান্য দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন অর্থ সাহায্য বরাদ্দ করলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোন সুনির্দিষ্ট রাডম্যাপ ঘোষণা করেনি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি বিøনকেন যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিলেও কতজনকে পুনর্বাসন করা হবে সেটি স্পষ্ট করে বলেননি।
সবচেয়ে আশঙ্কার কথা রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিলেও জাতিসংঘে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় বারবার ভেটো দিয়েছে। তাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, গুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় চীন তাদের পক্ষেই থাকবে।
এ ছাড়া অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্র ভারতও রোহিঙ্গা সঙ্কট ও চলমান ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। এমনকি সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহায়তা চাওয়া হলেও ভারত খুব বেশি আশ্বস্ত করেনি। কারণ চীন ও ভারত দুটি দেশেরই মিয়ানমারের ব্যবসায়িক ও আঞ্চলিক বেশকিছু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যু রয়েছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব দেশেরই মতৈক্যে আসা প্রয়োজন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশীদ বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই মুহূর্তে শক্তি থাকলেও বাংলাদেশে আক্রমণ করার সক্ষমতা নেই। আমরা ডিফেন্সিভ অবস্থায় আছি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও ভারতের কী অবস্থান সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যারা গডফাদার তারাই মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্য ভ‚মিকা রাখতে পারে। তাদের চাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন গোষ্ঠীর অন্তর্কোন্দলে দুর্বল সামরিক সরকারকে চাপে রেখে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের সুযোগ নেয়া উচিত। আর এটি করতে যদি বাংলাদেশকে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সামরিক শক্তির সক্ষমতাও দেখাতে হয়, তবে সেটিই করা উচিত।
আব্দুর রশিদ আরও বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কোন্দলের কারণেই বাংলাদেশের সীমান্তে গুলি ও মর্টারশেল পড়ছে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের মতো সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সাহস পাবে না। তবে আরাকান আর্মি বাংলাদেশে গুলি চালিয়েছে বলে যুক্তি দিলেই কোনভাবে দায় এড়াতে পারে না মিয়ানমার। কারণ বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিরতার দায় তাদের নিতেই হবে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের ডেকে পাঠানোর প্রতি উত্তরে মিয়ানমারকে উত্তর দিলেই হবে না। তাদের নিজেদের অভ্যন্তরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দ্রæত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একইসঙ্গে প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোকেও রোহিঙ্গা সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের পথ বের করতে হবে।
গত মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তেজনার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। চীনও বর্তমান পরিস্থিতিকে নিন্দনীয় এবং বেজিং বিষয়টি নেপিডোর সঙ্গে আলোচনা করবে বলে মন্তব্য করেছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের পক্ষ থেকে আশ্বাসও দেয়া হয়েছে। একইভাবে ২০ সেপ্টেম্বর পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের কাছে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিতিশীলতার চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশ সমস্যা সমাধানে তাদের সহায়তা চায়। শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিকভাবে এটির সমাধানের দাবি উত্থাপন করে। পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতরা প্রয়োজনে বিষয়টি সমাধানে জাতিসংঘে উত্থাপনের পরামর্শ দেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য জাতিসংঘে বিষয়টি উত্থাপন করলে সহায়তার আশ্বাস দেয়। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ রাষ্ট্রই মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সেটি প্রকাশ করেছে।
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যারা কথায় কথায় নিষেধাজ্ঞা দেয় তাদের উচিত মিয়ানমারের ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে এটা দেয়া। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে তাদের বলা উচিত, এভাবে চলতে পারে না। একইসঙ্গে সুইফট সিস্টেম থেকে মিয়ানমারকে বাদ দেয়া উচিত।
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যার সমাধানের দিকে আমাদের এগোতে হবে। সীমান্ত পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আমাদের কিছু মিসাইল কক্সবাজারের দিকে মোতায়েন করা উচিত, সীমান্ত এলাকায় ভারত ও চীনের কিছু ইপিজেড বসিয়ে দেয়া উচিত। পর্দার আড়ালে মিয়ানমারের সঙ্গেও একটি ডিপ্লোম্যাসি করা উচিত।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সীমান্তের চলমান সঙ্কট বেশিদিন দীর্ঘায়িত হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে। বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে থাকা আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদেরও তাদের সঙ্গে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গা যুবকরা যদি তাদের মাতৃভ‚মির জন্য লড়াই শুরু করে তাহলে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে!
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আউং সান সুচি ক্ষমতা হারানোর পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের মনোযোগে পরিবর্তন এসেছে। ক্ষমতা দখলকারীরা দুর্বল থাকায় সেই সুযোগ নিচ্ছে অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীগুলো। আরাকান আর্মিসহ অন্যরাও নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই সুযোগটা আন্তর্জাতিক বিজনেস কমিউনিটিও নিচ্ছে, অস্ত্র ব্যবসা বাড়ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সুকৌশলে ক‚টনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আহ্বান জানানো উচিত। পাশাপাশি বাংলাদেশও যে সামরিক দিক দিয়ে মিয়ানমারের চাইতে এগিয়ে সেটিও তাদের বুঝিয়ে দেয়া উচিত। তবে কোনভাবেই মিয়ানমারের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো উচিত নয়। কারণ এতে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যই সফল হবে। তাদের ফাঁদে পা দেয়া উচিত নয়। সুত্র: জনকন্ঠ
পাঠকের মতামত